চিকিতসকের উদারতার বাস্তব কাহিনী যা পত্র পত্রিকায় আসে না । পড়ার অনুরোধ রইলো। অর্থোসার্জারীতে ডিউটি চলছিলো, একদিন লামা থেকে হাতুড়...
চিকিতসকের উদারতার বাস্তব কাহিনী যা পত্র পত্রিকায় আসে না ।
পড়ার অনুরোধ রইলো।
অর্থোসার্জারীতে ডিউটি চলছিলো,
একদিন লামা থেকে হাতুড়ে কবিরাজের অপচিকিতসা নিয়ে এক রোগী ভর্তি হয়েছিলো,
রোগীর দুই পায়ের অবস্থা ভয়াবহ ।
পায়ের উপর গাড়ি চড়েছিলো,
টিবিয়া-ফিবুলা দুটোয় ভাংগা .
কবিরাজ গাছের বাকল আর গাছের টুকরো দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে।
একদিন পর আমাদের ওয়ার্ডে ভর্তি হলেন।
এক্স রে করার পর তার,
পায়ের ভয়াবহ অবস্থা জানা গেলো।
সবাই মিলে সিদ্ধান্ত হলো,
ইমার্জেন্সী তার অপারেশন করা হবে।
রোগী আর রোগীর এটেন্ডেন্ট বললেন,
চিকিতসা করার মত ১ টাকাও তাদের
নেই।
পরের দিন সকাল প্রফেসরদের রাউন্ড
চলছিলো ।
এমন সময় ইকবাল স্যার লামা থেকে আসা রোগীর খোঁজখবর নিলেন,
আমরা যখন স্যারকে বললাম,
অপারেশেন ঔষুধ পত্র ও স্ক্রু কেনার জন্য তার ১ টাকাও নেই "
তখনি স্যার বললেন
ঔষুধ পত্রে যা টাকা লাগে আমি দিবো,
আজকেই ওর অপারেশন করে ফেলো "
আরো বললেন ,
এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে ২ জন গরীব অসহায় রোগীর অপারেশনের যাবতীয় খরচ আমার কাছ থেকে নিও "
আমরা সবাই,
অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম,
একেকটা রোগীর পিছনে প্রায় ১০-১২ হাজার টাকার ঔষুধ পত্র ও স্ক্রু লাগে ।
এত টাকা প্রতি সপ্তাহে গরীবদের চিকিতসায় দিয়ে দিবেন।
মাস শেষে স্যারের বেতন হয়তো ৩০ হাজার টাকা,
আর গরীবদের ঔষুধের পেছনে স্যার খরচ করেন মাসে লক্ষাধিক টাকা ।
অবশ্য স্যার বড়লোক মানুষ,
অর্থের দিকে যতটা না বড়লোক,
মনের দিকে তার চেয়ে ১০ গুন বেশি বড়লোক ।
।
স্যালুট ইকবাল স্যার,
আপনি চিকিতসক সমাজের গর্ব ।
আপনার মত চিকিতসক পেয়ে আমরাও গর্বিত।
----------
বাস্তব কাহিনী অবলম্বনে লিখেছেন
-----------
ডা: স্বাধীন
Chittagong Medical College Hospital
-----------
ফেসবুক লিংক - http://fb.com/DrREAL
পড়ার অনুরোধ রইলো।
অর্থোসার্জারীতে ডিউটি চলছিলো,
একদিন লামা থেকে হাতুড়ে কবিরাজের অপচিকিতসা নিয়ে এক রোগী ভর্তি হয়েছিলো,
রোগীর দুই পায়ের অবস্থা ভয়াবহ ।
পায়ের উপর গাড়ি চড়েছিলো,
টিবিয়া-ফিবুলা দুটোয় ভাংগা .
কবিরাজ গাছের বাকল আর গাছের টুকরো দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে।
একদিন পর আমাদের ওয়ার্ডে ভর্তি হলেন।
এক্স রে করার পর তার,
পায়ের ভয়াবহ অবস্থা জানা গেলো।
সবাই মিলে সিদ্ধান্ত হলো,
ইমার্জেন্সী তার অপারেশন করা হবে।
রোগী আর রোগীর এটেন্ডেন্ট বললেন,
চিকিতসা করার মত ১ টাকাও তাদের
নেই।
পরের দিন সকাল প্রফেসরদের রাউন্ড
চলছিলো ।
এমন সময় ইকবাল স্যার লামা থেকে আসা রোগীর খোঁজখবর নিলেন,
আমরা যখন স্যারকে বললাম,
অপারেশেন ঔষুধ পত্র ও স্ক্রু কেনার জন্য তার ১ টাকাও নেই "
তখনি স্যার বললেন
ঔষুধ পত্রে যা টাকা লাগে আমি দিবো,
আজকেই ওর অপারেশন করে ফেলো "
আরো বললেন ,
এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে ২ জন গরীব অসহায় রোগীর অপারেশনের যাবতীয় খরচ আমার কাছ থেকে নিও "
আমরা সবাই,
অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম,
একেকটা রোগীর পিছনে প্রায় ১০-১২ হাজার টাকার ঔষুধ পত্র ও স্ক্রু লাগে ।
এত টাকা প্রতি সপ্তাহে গরীবদের চিকিতসায় দিয়ে দিবেন।
মাস শেষে স্যারের বেতন হয়তো ৩০ হাজার টাকা,
আর গরীবদের ঔষুধের পেছনে স্যার খরচ করেন মাসে লক্ষাধিক টাকা ।
অবশ্য স্যার বড়লোক মানুষ,
অর্থের দিকে যতটা না বড়লোক,
মনের দিকে তার চেয়ে ১০ গুন বেশি বড়লোক ।
।
স্যালুট ইকবাল স্যার,
আপনি চিকিতসক সমাজের গর্ব ।
আপনার মত চিকিতসক পেয়ে আমরাও গর্বিত।
----------
বাস্তব কাহিনী অবলম্বনে লিখেছেন
-----------
ডা: স্বাধীন
Chittagong Medical College Hospital
-----------
এ সাইটে লিখতে যোগাযোগ করুন -
-ডাঃ স্বাধীনফেসবুক লিংক - http://fb.com/DrREAL