মেডিকেল লাইফের ১ম বর্ষের প্রথম কয়েকমাস (৫-৬ মাস)/সর্বোচ্চ ফার্স্ট টার্ম পর্যন্ত তোমাদের বেশ খারাপ লাগতে পারে/মেডিকেলের জীবন বোরিং মনে হ...
মেডিকেল লাইফের ১ম বর্ষের প্রথম কয়েকমাস (৫-৬ মাস)/সর্বোচ্চ ফার্স্ট টার্ম পর্যন্ত
তোমাদের বেশ খারাপ লাগতে পারে/মেডিকেলের জীবন বোরিং মনে হতে পারে।
তারপর থেকে দেখবে এতটা খারাপ মনে হবে না।
বরং এনজয় করা শুরু করবে।
কারণ ইতোমধ্যে প্রফ ছাড়া অন্য সব পরীক্ষার সাথে Adapted হয়ে যাবে।
তখন আইটেম,কার্ড,টার্ম পরীক্ষার ভীতি কেটে যাবে।
তখন দেখবে যে এখনকার ৬/৭/৮ ঘন্টা পড়ে আইটেম দেয়া এই তুমি ১-২ ঘন্টা পড়েই আইটেম দিতে পারবে।
অতএব ভেবে দেখো,অবশিষ্ট সময় কিন্তু তোমার রেস্ট/রিল্যাক্সের জন্যই থাকবে।
তবে আতেল প্রজাতির হলে তো পড়ার মধ্যেই নিজেকে Confined রাখবে।
সেক্ষেত্রে আলাদা কথা,নইলে রিল্যাক্স সময়ই কাটাতে পারবে।
আর ফার্স্ট প্রফ দেয়ার পর পুরো একটা বছর অর্থাৎ 3rd Year কিন্তু মেডিকেল লাইফের সোনালী বছর নামে পরিচিত।
এটা সবচেয়ে রিল্যাক্স সময়।কেউ যদি এই একটা বছর যাস্ট পারসেন্টেজ ঠিক রাখার জন্য ক্লাস করে,কিন্তু বই নাও খোলে তবুও সমস্যা হবে না।
তারপর 4th Year এ আবার একটু চাপ থাকবে তারপর. 2nd Prof দিয়ে ব্লক শুরুর আগ পর্যন্ত (৬-৭ মাস) কিন্তু বেশ রিল্যাক্স।
আর অবশিষ্ট সময় পড়তে হলেও চাপ মনে হবে না (প্রফের সময় ব্যতীত) ।
কারণ তখন পাশ-ফেল একদম নরমাল মনে হবে।
আর জীবনের চক্র তো জানোই।
সুখ-দূঃখ চক্রাকারে আবর্তিত হয়।
মেডিকেল লাইফও এর ব্যতিক্রম নয়।
এখন কষ্টে আছো,তার মানে সামনেই সুখের প্রহর।
আর একটা বিষয় হলো মেডিকেলে ক্লাস শেষে যেখানেই যাও/আত্নীয়-সজনদের বাসায় যাও না কেন সবাই তোমাকে আলাদা নজরে দেখবে,বেশি Care করবে,ভালবাসবে।
এমনকি বাংলাদেশের যেকোন প্রান্তেই যাও না কেন/যত অপরিচিতই হোক না কেন তুমি মেডিকেল স্টুডেন্ট পরিচয় দিলে তারা তোমাকে তাদের সাধ্যমত সাহায্য করবে,সম্মান করবে।
আর মেডিকেলে ভর্তির পর থেকে শুরু করে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সবার কাছে সম্মানিত হবে,সর্বোচচ মর্যাদার অধিকারী/অধিকারিনী হবে,অনেক সুযোগ-সুবিধা পাবে।
সুতরাং প্রথমে একটু কষ্ট,ত্যাগ-তিতীক্ষা,টেনশান,হতাশার প্রহর অতিক্রম করতে হবে এটাই স্বাভাবিক।
তবে স্বাভাবিক এই বিষয়গুলো জটিলভাবে না নিয়ে Normally নিলে কখনো নিজের কাছে Burden মনে হবে না,আর নিজেকে চাপের মধ্যে ফেলে জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলতেও হবে না।
সুতরাং কয়েকটা আইটেম পেন্ডিং ,কার্ড/টার্ম /প্রফে ফেল করলে নিজেকে হতাশায় নিমজ্জিত করে সুন্দর জীবনটাকে অস্বস্তিতে ফেলার কোন মানেই হয় না।
আর তুমি কষ্টে/হতাশায় থাকা মানে তোমার পরিবারও (মূলতঃ বাবা-মা ) কিন্তু তোমার কথা ভেবে কষ্টে থাকবে।
সুতরাং নিজেকে কষ্টে রাখার আগে তাঁদের কথাও একটু ভেবো।
আর সিনিয়র ভাইয়া-আপুদের প্রতি একটু খেয়াল করে দেখো যে,তারা কিন্তু বেশ ফুরফুরে মেজাজেই থাকেন।
তোমাদেরও এমন সময় আসবে।
তবে এই সময়টা তোমাদের জীবনে অচিরেই /খুব দ্রুত আসুক,তোমরা খুব দ্রুত সবকিছুর সাথে নিজেকে যেন মানিয়ে নিয়ে সুন্দরভাবে সামনে এগিয়ে যেতে পারো এই প্রত্যাশা রইলো।
Best of Luck...
Be Happy & Always Remain Happy with Smiling Face,Recovering Yours Frustrations & Depressions...
(Abdullah Ashique)
আব্দুল্লাহ আশিকের সব লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন