.:: ভালো ডাক্তার কাকে বলে ? কিভাবে হবেন ? ::: ডাক্তারী লাইফটা বিখ্যাত কোনো এক বিখ্যাত অভিনেতার অভিনেত্রীর জীবনীর মতো । দেখা যায় যে –...
.:: ভালো ডাক্তার কাকে বলে ? কিভাবে হবেন ? :::
ডাক্তারী লাইফটা বিখ্যাত কোনো এক বিখ্যাত অভিনেতার অভিনেত্রীর জীবনীর মতো । দেখা যায় যে – শুরু করেছিলেন শখে শখে , পরে পুরোটাই প্রোফেশনাল হয়ে যায়। জীবন মরন শপে দেয় এক নেশায় । এখানে উপরে ওঠার সিঁড়ি যেন অসীম ।
মেডিকেলে যারা পরে তারা খুব শখ করে আসে এই প্রোফেশনে ।মানব সেবা পরম ধর্ম ।বুদ্ধের বাণী , শুদ্ধ বাণী । মানুষের সেবা , গরীবের পাশে দাঁড়িয়ে দুনিয়া উদ্ধার করে দিবে। তাই দিয়েই আসলে শুরু হয় । স্টুডেন্ট লাইফে কিছু দিন করা যায় গরীবের জন্য কিছু কিছু। ইন্টার্ণ লাইফেও করা যায় সময় সুযোগ বুঝে ।কিন্তু ফ্রি চিকিৎসা সম্পর্কে নেগেটিভ ধারনা বাঙ্গালিদের । তাই চাইলেও সরে আসতে হবে ফ্রির দরজা থেকে । পরে যখন পেশা হিসেবে শুরু করবেন চেম্বারশীপ । পরিবার আর আত্মীয় স্বজন বাদ দিয়ে তখন আর ফ্রি কাউকে দেখার আগ্রহ মোটেও থাকবে না নিজের মধ্যে।
রোগী দেখার পর অর্থ নেয়া আস্তে আস্তে বাধ্যতা মূলক হয়ে যায় । ফ্রি শব্দ টা শুনলেই তখন মেজাজ খারাপ হয় ।
এর পর বছর গড়িয়ে গড়িয়ে আপনি এসিট্যান্ট প্রফেসর হয়ে যাবেন । ভালো কোনো জায়গায় আপনার চেম্বার হবে । তখন টাকা পয়সার লেনদেন করবে আপনার চামার টাইপের একজন এসিট্যান্ট । সে আর গরীব ধনী , ডাক্তার -নন ডাক্তার এই সবের কি বুঝবে ।ধীরে ধীরে আপনার চেম্বারে ভিড়ের মাঝে হারিয়ে যাবে সেই শৈশবের স্বপ্ন আর সেবা করার মনুষ্যত্ব । আপনি হয়ে যাবেন একজন প্রকৃত অর্থের বিনিময়ে সেবাদানকারী একজন প্রাণী । তারপর আরো ব্যস্ত হবেন । তখন আপনি হারিয়ে ফেলবেন রোগীর সাথে ভালো ব্যবহার করার অভ্যাসটাও । রোগীর দিকে তাকিয়ে প্রেসক্রিপশন লেখার সময় থাকবে না। দুই এক কথায় বিদায় । অসন্তুষ্টি নিয়ে রোগী চলে যাবে।
আর কয়েক বছর পর ।আপনি এখন ফুল প্রোফেসর । আপনার সিরিয়াল পেতে ৬ মাস লাগে। তখন কিসের ফ্রি , কিসের কি। তাকে দেখাতে পারাটাই রোগীরা সৌভাগ্য মনে করে ।দরকার হলে ডাক্তারের ভিজিট , সাথে চেম্বারের মামার এক্সট্রা ভিজিট । তখন আপনার পেশার সাথে নেশা যোগ হয় পুরো দমে। রাত ৩টায় আপনার চেম্বার শেষ হয় ।
তাই আমাদের জীবনী গুলো যেন পুরোটাই চিত্র শিল্পীর জীবনের প্রতিচ্ছবি । ডাক্তার এখানে উদাহরন মাত্র । সব প্রোফেশনেই একি অবস্থা । মৌলিক আদর্শ ধরে রাখা খুব কঠিন।
পুনশ্চ :
ভালো ডাক্তার হইতে হইলে দুই একটা ম্যাজিক চিকিৎসা দেখানো লাগে, যেটা তার পরবর্তী জীবনের দ্বার খুলে দেয় । আর এই দ্বার সবাই পায় না।
--- Written by DrSayed Sujon ----
রোগী দেখার পর অর্থ নেয়া আস্তে আস্তে বাধ্যতা মূলক হয়ে যায় । ফ্রি শব্দ টা শুনলেই তখন মেজাজ খারাপ হয় ।
এর পর বছর গড়িয়ে গড়িয়ে আপনি এসিট্যান্ট প্রফেসর হয়ে যাবেন । ভালো কোনো জায়গায় আপনার চেম্বার হবে । তখন টাকা পয়সার লেনদেন করবে আপনার চামার টাইপের একজন এসিট্যান্ট । সে আর গরীব ধনী , ডাক্তার -নন ডাক্তার এই সবের কি বুঝবে ।ধীরে ধীরে আপনার চেম্বারে ভিড়ের মাঝে হারিয়ে যাবে সেই শৈশবের স্বপ্ন আর সেবা করার মনুষ্যত্ব । আপনি হয়ে যাবেন একজন প্রকৃত অর্থের বিনিময়ে সেবাদানকারী একজন প্রাণী । তারপর আরো ব্যস্ত হবেন । তখন আপনি হারিয়ে ফেলবেন রোগীর সাথে ভালো ব্যবহার করার অভ্যাসটাও । রোগীর দিকে তাকিয়ে প্রেসক্রিপশন লেখার সময় থাকবে না। দুই এক কথায় বিদায় । অসন্তুষ্টি নিয়ে রোগী চলে যাবে।
আর কয়েক বছর পর ।আপনি এখন ফুল প্রোফেসর । আপনার সিরিয়াল পেতে ৬ মাস লাগে। তখন কিসের ফ্রি , কিসের কি। তাকে দেখাতে পারাটাই রোগীরা সৌভাগ্য মনে করে ।দরকার হলে ডাক্তারের ভিজিট , সাথে চেম্বারের মামার এক্সট্রা ভিজিট । তখন আপনার পেশার সাথে নেশা যোগ হয় পুরো দমে। রাত ৩টায় আপনার চেম্বার শেষ হয় ।
তাই আমাদের জীবনী গুলো যেন পুরোটাই চিত্র শিল্পীর জীবনের প্রতিচ্ছবি । ডাক্তার এখানে উদাহরন মাত্র । সব প্রোফেশনেই একি অবস্থা । মৌলিক আদর্শ ধরে রাখা খুব কঠিন।
পুনশ্চ :
ভালো ডাক্তার হইতে হইলে দুই একটা ম্যাজিক চিকিৎসা দেখানো লাগে, যেটা তার পরবর্তী জীবনের দ্বার খুলে দেয় । আর এই দ্বার সবাই পায় না।
--- Written by DrSayed Sujon ----