ডাক্তার, নৃবিজ্ঞান আর আমি ... আব্বা ডাক্তার হবার কারণে, ছোটবেলা থেকে ডাক্তার আর হাসপাতাল কেন্দ্রিক কমিউনিটিতে আমার বেড়ে উঠা।বিশ্ববিদ্যা...
ডাক্তার, নৃবিজ্ঞান আর আমি ...
আব্বা ডাক্তার হবার কারণে, ছোটবেলা থেকে ডাক্তার আর হাসপাতাল কেন্দ্রিক কমিউনিটিতে আমার বেড়ে উঠা।বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে সেই কমিউনিটি থেকে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিলো, কিন্তু পাশ করে বের হবার পর আইসিডিডিআরবিতে কাজ করার দরুন গবেষণার স্বার্থে টারশিয়ারী লেভেলে বেশ অনেকগুলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মাঠকর্ম করতে হয়। (কি ছিল সেই অভিজ্ঞতা কিছুটা পরে বলবো)।এরপর দেশের বাইরে চিকিৎসা নৃবিজ্ঞান পড়া আর বেশ কয়েক বছর থাকার কারণে এনএইসএস, যাকে পৃথিবীর সেরা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একটি বলা হয়ে থাকে, তা প্রাকটিকালি দেখবার আর একাডেমিক ভাবে তুলনামূলক বিচার করার সুযোগ হয়েছিলো। তাই একই সাথে নৃবৈজ্ঞানিক অবস্থান থেকে “এমিক” আর “এটিক” দৃষ্টিকোণ থেকে “ডাক্তার” পেশাকে দেখার বুঝার কিছুটা সুযোগ আমার হয়েছে।
একজন ক্লিনিক্যাল ডাক্তারের (যারা সরাসরি রুগী দেখেন)লাইফস্টাইল কেমন তা উপলব্ধি করার আগ্রহ ছোটবেলায় তৈরি হইনি (কারন তখন নৃবিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম না)।আর আমি ঐ পরিবেশে বড় হয়েছিলাম, তাই ধরে নিয়েছিলাম ওইটাই স্বাভাবিক। ঈদের দিন সন্ধ্যাবেলা বেড়াতে যাবার মুহূর্তে যখন রোগী গলায় হাড় ফুটেছে এই কারণে গেট থেকে ফিরিয়ে চেম্বারে নিয়ে যেত, আমাদের ঈদের বেড়ানোও লাঠে ওঠতো, মন কিছুটা খারাপ হতো বটে কিন্তু আমাদের জন্য ওইটা ছিল স্বাভাবিক। বলে নেয়া ভালো- আমার বাবা এত বছর সরকারী চাকরি আর প্র্যাকটিস করে একটা সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়িও কিনতে পারেননি। পারার অবশ্য কথা না, কারন কিছুদিন আগে পর্যন্তও উনার রুগী দেখার ফি ছিল ৫০ টাকা, আর এখন সম্ভবত ১০০ টাকা। যদিও ৫০% এর উপরে রুগী উনি ফ্রি দেখেন। আমি যখন ক্লাস ফোরে পড়ি, তখন উনি জেলা সদর থেকে বন্ডসই দিয়ে ইউনিয়ন লেভেলে পোস্টিং নেন। তাই যখন ডাক্তারদের কশাই বলা হয়, মেনে নিতে কষ্ট হয়।
ডাক্তারের জীবন কেমন তা আগে ঐ ভাবে ভাবিনি, কিন্তু এখন স্ত্রী ডাক্তার হবার কারণে আমি নিজে ডাক্তার না হয়েও প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, পরিস্থিতি ভাবতে বাধ্য করে। উদাহরন দিলে বুঝতে সুবিধা হবে; দেশে ফেরার পর ৭টা ঈদের মধ্যে মাত্র ১ টাতে বাড়ি যেয়ে ঈদ করার সুযোগ হয়েছে। এমনও হয়েছে ঈদের দিন কি রান্না হবে সেইটা বিষয় না, ভাবতে হয়েছে ঈদের সকালে দক্ষিন বনশ্রী থেকে কিভাবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ডিউটিতে যাবে। সারা দিন অফিস করার পর স্ত্রীর নাইট ডিউটির জন্য বাচ্চাকে দেখতে, খাওয়াতে হয়েছে- রাতে ৪/৫ বার উঠে, সকালে আবার অফিস যেতে হয়েছে। আর এগুলো বাচ্চার বয়স ৪ মাস থেকে শুরু হয়েছে আর এখনও চলছে। ভাবছেন, টাকাতো ঠিকই কামাচ্ছে । জী না, কামাচ্ছে না।এই অবস্থা কে বলা হয় অনারারী মেডিক্যাল অফিসার বা এইসএমও(উনারা এটাকে নিজেদের মধ্যে “অনাহারী” বলে থাকেন)।এই অবস্থায় উনারা তো কোন বেতন পাননা, উলটা প্রতি ৬ মাসের জন্য ৫০০০ টাকা করে দিতে হয়। আর ডিউটি স্টাইল শুনবেন? প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২ টা। নাইট থাকলে আবার রাত ৮ টার মধ্যে হাসপাতালে, আর বাড়ি ফেরা পরদিন দুপুর ২ টার পর। ডাক্তারদের পরিবার নিয়ে কখনও খোঁজ নিয়েছেন কেউ? যদি ডাক্তার মহিলা, বিবাহিত হন আর বাচ্চা থাকে; তাহলে বাড়িতে রান্না হয় কেমনে, বাচ্চা বড় হয় কেমনে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।
আমার স্ত্রী সন্মন্ধে একটু বলে নেয়া ভালো। সে ২০০১-২০০২ সেশনে সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়ে পাশ করেছে ২০০৭ এ, ইন্টার্নি শেষ হয়েছে ২০০৮ এ। এরপর এফসিপিএস পার্ট-১ পাশ করে ইংল্যান্ড গেছে, ওখানে এমআরসিওজি পার্ট-১ পাশ করেছে। দেশে ফিরে অনারারী শুরু করেছে, বাচ্চা ছোট থাকার কারণে কিছুটা বিরতি দিয়ে দিয়ে এখন পর্যন্ত ২ বছর অনারারী শেষ করতে পেরেছে, আর সামনে আরও ২ বছর করতে হবে। ধরে নিলাম, ২০১৬তে ও পার্ট-২ পাশ করে সার্জন হয়ে যাবে। এরপর ও ইনকাম শুরু করবে। ওর মত ছাত্র, যারা মেডিক্যালে পড়েননি, ২০০১-২০০২ সেশনে যারা ভর্তি হয়েছেন ২০১৬ পর্যন্ত তারা কত টাকা আয় করেছেন আর কোথায় এখন আছেন? একটু কম্পারেটিভ কস্ট এনালাইসিস করেন। একটা ধারনা দেবার চেষ্টা করি, ২০০১-২০০২ সেশনে যারা অন্য ডিসিপ্লিনে ভর্তি হয়েছেন, ধরলাম সেশন জট সহ বের হয়েছেন ২০০৬ এ। চাকরিতে ঢুকেছেন ২০০৭ এ। ২০০৭ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত মোট ৬ বছরে গড়ে প্রতি মাসে ২০,০০০ টাকা আয় করলে হয় (৬X১২X২০,০০০) ১৪,৪০,০০০ টাকা। সাথে এই ডাক্তারদের ফ্যামিলি মেম্বারদের কন্ট্রিবিউশনও বিবেচনা করেন।
এইবার আসি, সরকারী চাকরিতে। ডাক্তারদের পাশ করতে এমনিতেই গড়ে ২/৩ বছর বেশী লাগে (MBBS এর duration এর কারণে), গড়ে ৬ বছর, ৫ বছর কোর্স আর ১ বছর ইন্টার্নি (সেশন জট থাকলে আরও বেশী) । তার মানে অন্য কোন বিষয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের থেকে ২/৩ বছর জুনিয়ররা এক সাথে পাশ করে বিসিএস দেয়। এরপর ধরে নিলাম, বিসিএসে ঢুকল। আপনারা কি জানেন প্রশাসনে ডাক্তারদের রাঙ্কিং কি? এক সাথে একই ব্যাচে ঢুকেও ডাক্তারকে স্যার বলতে হয় ৪/৫ জনকে। যারা তার থেকে ২ বছর ছোট। অন্যদের উপজেলা পরিষদে থাকবার বসবার জায়গা আছে, এমন কি গাড়িও আছে কারও কারও, আর ডাক্তারদের পোস্টিং হয় ইউনিয়ন লেভেলে। ইউনিয়নের মেম্বারের বাড়ির চাকরের জ্বর হলেও ডাক্তারকে রাত ৩ টায় তাকে বাড়ি যেয়ে দেখে আসতে হবে, না হলে কপালে মার আছে। ভাবছেন যাবে না কেন?ডাক্তার তো জনগনের ট্যাক্সের টাকায় পড়ে ডাক্তার হয়েছে, যেতেতো হবেই। তাই যদি হয় দেশের সব পাবলিক আর সরকারী স্কুল, কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয় ও জনগনের ট্যাক্সের টাকায় চলে। নিজেকে নিয়ে এইটা কি অন্যদের মাথায় থাকে?এমন হলে অন্যদের ও ঐ রকম দায় আছে, তাদের করণীয়টা করছেন কি?
আমার প্রয়াত শ্বশুর দরিদ্র ছিলেন না, মোটামুটি সচ্ছল ছিলেন। কিন্তু তার ডাক্তার মেয়ে পড়াতে যা খরচ করেছেন, তার সমপরিমান টাকা তিনি তার অন্য ৩ ছেলেমেয়ের জন্যও করতে পারেননি। কারন শুধু MBBS পাশ করাতেই ৬/৭ বছর সাপোর্ট দিতে হয়েছে। আমি জানি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেককেই ৪/৫ বছর সাপোর্ট দিতে তার পরিবারের কেমন গলদ ঘর্ম ছুটে যায়। কারন খাওয়া, পরা আর বই খাতা কেনা এগুলো সরকার পাবলিকের টাকায় করে দেয়না, প্রত্যেকে নিজের বাপের টাকায় করতে হয়। আর মেডিক্যালে খরচ একটু বেশী কারন প্রত্যেকটা বই, যা যথেষ্ট দামী তা তাদের কাছে থাকতে হয়।
এবার আসি সরকারী হাসপাতালে ডাক্তাররা কি করেন? ফাকি মারেন তাই না? ডাক্তার নাই, তারপরও যারা আছেন তারা গড়ে ১১০ এর উপরে রুগী দেখেন। আর ইউকেতে একজন জিপি গড়ে ৩০-৪০ জন রুগী দেখেন। পার্থক্যটা দেখেন, কোয়ালিটি কেন ভালো এখানে বুঝতে পারবেন। আর জানিয়ে রাখি এই ডাক্তারদের একটা বড় অংশ কিন্তু বাংলাদেশের ডাক্তার।দেশে তারা “ভুল চিকিৎসা” করলেও ইউকেতে কিন্তু তাদের পারফরমেন্স খুব ভালো, তারাই সেখানে বিশ্বমানের সেবা দিয়ে থাকেন। আমার স্ত্রীর কয়েকজন বন্ধুদের দেখেছি যারা ওখানে জিপি হয়ে গেছেন, একজনকে দেখেছি ৮ মাসের মাথায় বেতনের টাকা দিয়ে নতুন বিএমডবলু গাড়ি কিনেছেন। এই ডাক্তাররা এদেশে এখন সরকারী চাকরি করে তখন বেতন শুরু করে ১৯,০০০ টাকায় আর বাইরের যে কোন দেশে সর্বোচ্চ বেতন বরাদ্দ থাকে ডাক্তারদের জন্য। কারন তারা ডাক্তারদের ডাক্তার হয়ে ওঠার জন্য যে পরিশ্রম তার মূল্য দিয়ে থাকেন । আর তাই ডাক্তারও তাদের সেরাটা দেবার চেষ্টা করেন। ইউকেতে জিপির (জেনারেল প্রাক্টিসনার) না ট্রেনিং ডাক্তারের বেতনও শুরু হয় বাংলাদেশী টাকায় ২,৫০,০০০ টাকায়। আর নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে (সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা) কাজ করলে তার জন্য আলাদা পয়সা দেয়া হয়।
( http://www.practicelink.com/magazine/vital-stats/physician-compensation-worldwide/ )।
এবার ইউকে ডাক্তার দেখানোর অভিজ্ঞতার কথা বলি, একবার আমি সার্জারিতে গেলাম খুব ব্যাক পেইন নিয়ে। রিসেপশানে কম্পিউটার চেক করে রিসেপশনিশ্ট বলল ১৭ দিন পর দুপুর ২:৩০ টায় আপনি দেখাতে পারবেন। জি, ১৭ দিন পরের কথায় বলেছিল।(যারা এই তথ্য ভুল প্রমান করতে চান তারা এই লিঙ্কে গিয়ে করেন http://www.nhs.uk/Services/GP/Overview/DefaultView.aspx?id=40793 ) বাংলাদেশে ডাক্তার নাই, ফাঁকিবাজ সব, এমন কখনও হয়েছে কি আপনি সরকারী হাসপাতালে গেছেন আর আপনাকে না দেখে ফিরিয়ে দিয়েছে, তো সেটা রাত ৪ টা হলেও। বা বেড খালি নাই সে জন্য বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে? আমি নিশ্চিত বলতে পারি দেয়নি। আমার স্ত্রীর ২ দিনের লেবার পেইন থাকা সত্ত্বেও ইউকেতে কিন্তু আমার এই অভিজ্ঞতা হয়েছে- বাড়িতে ফেরত পাঠিয়েছে।(হাসপাতালের ঠিকানা এখানে পাবেন http://www.bhrhospitals.nhs.uk/for-patients-and-visitors/queens-hospital.htm তারিখঃ ১৩/১১/২০১০ এবং ১৪/১১/২০১০) বাংলাদেশে কি কখনও শুনেছেন আজ হসপিটালের অমুক ডাক্তারের ২৫টা রুগী দেখা হয়ে গেছে আজ আর দেখবেন না, কাল সকালে আসেন। বাইরে কিন্তু শুনবেন। কিন্ত শুধু এই দেশেই হাসপাতালে ৫০০ বেড, রুগী ভর্তি আছে ১৫০০, তারপরও ৩০০ রোগী যাক, দেখবেন বারান্দায় পাটি বিছিয়ে দিয়ে ভর্তি করে নিয়েছে।
অনুরোধ ডাক্তারদের প্রতি একটু মানবিক হন। একজন ডাক্তারকে সপ্তাহে কত দিন, কত ঘণ্টা কাজ করতে হয় একটু খোঁজ নেন। এই অনারারীরা কেউ কেউ আছে পরিবারের আর্থিক সাপোর্ট দেবার জন্য এমনও হয় যে ৭ দিন বাসায় যায়না। হসপিটাল থেকে ক্লিনিক আর ক্লিনিক থেকে হসপিটাল করে। খাওয়া ঘুমের কোন নিয়ম নাই। আর এই মেধা, পরিশ্রম দিয়ে এত বছর পর তারা কত টাকা আয় করে জানেন? ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা। যেখানে তার সাথে স্কুল কলেজে পড়ুয়া কম মেধাবীরাও ৯-৫ টা অফিস করে কেউ কেউ লাখের উপরে বেতন পায়।
ডাক্তারদের জন্য নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ঠিক করেন (৪০ ঘণ্টা), এর বেশী কাজ করতে হলে তাকে আলাদা করে পয়সা দেন, দেখবেন হাসপাতালে ডাক্তার থাকছেন । এছাড়া দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডাক্তার রাখতে হলে বাজারের সাথে সঙ্গতি রেখে মেধার মূল্যায়ন অনুযায়ী প্রণোদনা দেন দেখবেন ঠিকই প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডাক্তার থাকছেন। ব্যাংকের জন্য যদি আলাদা বেতন স্কেল হতে পারে, ডাক্তারদের জন্য কেন নয়? যারা বাঙ্কে চাকরি করে তারা কি ডাক্তারদের থেকে বেশি মেধাবী না কি বেশী গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে? একজন ব্যাংকারের ২ বছর অভিজ্ঞতা হলে যদি ৪০,০০০ বেতন পায়। ডাক্তারকে অন্ততপক্ষে ৪০,০০০ দিয়ে বেতন শুরু করেন, কারন ডাক্তার ২ বছর অতিরিক্ত পড়াশুনার পিছনে ব্যয় করেছেন আর এই সময় তিনি আয় করা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
যতক্ষণ পর্যন্ত না রাষ্ট্র ডাক্তারদের প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক অবস্থান পুনর্গঠন (Restructure) করবে আর সমাজের অন্য পেশার মানুষদের ডাক্তারদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি না পালটাবে, পৃথিবীর সেরা এই চিকিৎসা অবকাঠামো দিন দিন ক্ষয়িষ্ণু আর "ব্রেইন ড্রেইন" হতে থাকবে (বিশ্বাস করেন পৃথিবীর সেরা স্বাস্থ্য অবকাঠামোর একটি হলো বাংলাদেশের, যদি ঠিক মত মানবসম্পদ নিশ্চিত করা যেত)। এই দক্ষিন এশিয়ায় এত সীমাবদ্ধতার মাঝেও বাংলাদেশই স্বাস্থ্যখাতে MDG-4 আর 5 এর প্রভূত উন্নতি করেছে। আমি নিশ্চিত ২০১৫ তে এই জন্য বাংলাদেশ পুরস্কৃত হবে। আর এজন্য সব থেকে বড় ভুমিকা ডাক্তারদেরই। এখনই সময় এই ধ্বস ঠেকানোর, না হলে দেশ হইত গর্ব করার মত অনেক কিছু হারাতে থাকবে।
----
লেখা - আতিক আহসান
এ সাইটে লিখতে যোগাযোগ করুন -
-ডাঃ স্বাধীনফেসবুক লিংক - http://fb.com/DrREAL