জেনে রাখা ভালো- ১) মিস ম্যাচড ব্লাড ট্রানফিউশনে সাথে সাথে রোগী মারা যায়না, প্রপার মেনেজমেন্টে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে। ২) ব্লাড গ্রুপ ম্যাচ ক...
জেনে রাখা ভালো-
১) মিস ম্যাচড ব্লাড ট্রানফিউশনে সাথে সাথে রোগী মারা যায়না, প্রপার মেনেজমেন্টে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে।২) ব্লাড গ্রুপ ম্যাচ করা ডাক্তারদের কাজ না, ওটা করে লেব টেক।
৩) রোগীর শিরায় ব্লাড পুস করে স্টাফ নার্স, ডাক্তার না।
৪) রোগীর খাবার সরবরাহ করে ওয়ার্ড মাস্টার ডাক্তার না।
৫) রোগীর বেড ডিস্ট্রিবিউট করে ডিউটি নার্স, ডাক্তার না।
৬) রোগীর পায়খানা প্রস্রাব ফেলার জন্য আয়া আছে যার দায়িত্বে ডিউটি নার্স।
৭) বাথরুম পরিষ্কারের জন্য লোক আছে যাদের দায়িত্বে ওয়ার্ড মাস্টার।
৮) ইন্টার্ন ডাক্তারের কোন রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার ক্ষমতা নাই, তারা শুধু প্রফেসর ও সিএ রেজিস্ট্রারের অর্ডার ফলো করে আর রোগীর ফলোয়াপ নেয়।
৯) আউটডোরে সিরিয়াল নেয়ার আলাদা লোক থাকে।(সাংবাদিকরা সেই লোকেদের এড়িয়ে সরাসরি চেম্বারে ঢুকার চেষ্টা করলে তাদের সাথে ঝামেলা হয় পরবর্তিতে সেটার দায় ডাক্তারদের দিয়ে যৌন সুরসুরি পায়)
১০) ইনডোরে ১০০০ বেড, ১৫০০ থেকে ২০০০ রোগী ভর্তি হলে ওয়ার্ডে রোগী মেনেজ করা সময় সাপেক্ষ হতেই পারে, ধৈর্য ধরেন। আপনি যেমন একজন মুমুর্ষ রোগী এনেছেন, তেমনি আরেকজনও মুমুর্ষ রোগী এনেছে। একসাথে সবরোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব না।
১১) কর্পোরেট হাসপাতালের পেমেন্ট মালিকদের ব্যাপার, এইখানে বেশি টাকা পে করার পর সেই দায় কসাই ডাক্তারদের দেয়া ডিক হেডের পরিচয়।
১২) সাবধানতা বা প্রিকোওসন মেজারমেন্ট নেয়ার পরও অপারেশন টেবিলে রোগীর কার্ডিয়াক এরেস্ট বা হৃদপিন্ড হঠাত বন্ধ হয়ে রোগী মারা যেতে পারে।
১৩) যায় যায় অবস্থায় রোগী হাসপাতালে নিয়ে আসা রোগী মারা গেলে ডাক্তারদের অবহেলায় রোগী মারা গেছে এই কথা বলার অভ্যাস ত্যাগ করুন।
(প্রয়োজনে আপডেট করা হবে)
তাই রোগী বেচে গেলে আল্লাহ বাচাইসে, আর মারা গেলে কসাই ডাক্তার মাইরা ফালাইসে এই মানসিকতা পরিহার করুন কারন ডাক্তারেরা আপনার শত্র না। হাসপাতালে নয়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ডিউটি করে বিকালে চেম্বারে ১০০ রোগী দেখে সে যদি কোটিপতি হয় আপনার সমস্যা কি? টেক্সতো সরকারই পাচ্ছে তাইনা? অফিস ছাড়া আপনার ইঙ্কাম করার স্কোপ নাই এইটা কি ডাক্তারদের দোষ?
------ দলকানা বিলি