" হলুদ সাংবাদিকতাকে "না" বলুন। " আপনাদের অনেকের হয়ত সিলেট মেডিকেল কলেজে "নার্সদের উপর শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের হামল...
" হলুদ সাংবাদিকতাকে "না" বলুন।
" আপনাদের অনেকের হয়ত সিলেট মেডিকেল কলেজে "নার্সদের উপর শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের হামলা" নামক একটি খবর চোখে পড়েছে। সংবাদমাধ্যম তাঁদের ইচ্ছেমত ব্যাপারটি প্রচারও করেছে। কিন্তু তাতে প্রকৃত ঘটনার ছিটেফোঁটাও আসে নি। বস্তুত প্রকৃত ঘটনাটি মোটামুটি এরকম-
রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ইন্টার্ণ চিকিৎসক ডাঃ তোফায়েল এক রোগীর ফাইল দেখার জন্য ব্রাদার প্রলয়কে তলব করেন। কিন্তু ব্রাদার প্রলয় তখন এক নার্সের সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ছিল। ব্যাপারটি ডাঃ তোফায়েল সহকারী রেজিস্টারের দৃষ্টিতে আনলে সহকারী রেজিস্টার সরেজমিনে দেখতে আসেন। সহকারী রেজিস্টারকে দেখে প্রলয় ক্ষেপে যায় এবং ডাঃ তোফায়েলকে দেখে নেবে বলে ওয়ার্ড ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সে ৮-১০ জন বহিরাগত এনে ডাঃ তোফায়েলকে লাঞ্ছিত করে এবং বলে ফাইল যেন ডাক্তার নিজেই গিয়ে দেখে আসে। এ সময় উপস্থিত থাকা ইন্টার্ন চিকিৎসক ডাঃ জনি লাল দাশকেও তারা দেখে নেবার হুমকি দেয়। হাসপাতালের অন্যান্য চিকিতসকদের মধ্যে এ ঘটনা জানাজানি হলে সবাই প্রলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সে এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটিয়েছে। এরপর হাসপাতালের পরিচালক এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরবর্তীতে আজ সোমাবার বেলা ১১টায় সিলেট নার্সিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা তাঁদের ক্লাস বর্জন করে এবং কর্ম বিরতি পালন করে মানববন্ধন করে। এছাড়াও তারা ডাঃ তোফায়েল এবং ডাঃ জনি লাল দাশের নামে মিথ্যাচার করে এবং তার বিরুদ্ধে পোস্টারিং করে। ডাক্তারদের সন্ত্রাসী নামেও অভিহিত করে নার্সরা। কিছু সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে সংবাদকর্মীরা হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডাঃ জয় সাহাকে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে কিনা এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেন "হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রয়েছে এবং ইন্টার্ণ চিকিৎসকসহ সর্বস্তরের চিকিৎসক এবং সিনিয়র স্টাফ-নার্সরা তাঁদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে"। তিনি আরও বলেন নার্সদের এ আন্দোলন সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সংবাদ মাধ্যম গুলো তার এ বক্তব্য প্রচার না করে প্রচার করেন ডাঃ জয় সাহা তার বিবৃতি দিতে অস্বীকার করেছেন। এ ছাড়াও হাসপাতালে কোন ডাক্তার-নার্স নেই তাই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে প্রচার করেন। বস্তুতপক্ষে সংবাদমাধ্যমের প্রচারিত সংবাদের সাথে সত্যতার লেশমাত্র নেই। এমতাবস্থায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা দুপুর ৩টার দিকে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। জানিনা এই সংবাদটি কিভাবে প্রচার করা হয়। তাই আপনাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষদের মাঝে এ খবরটি ছড়িয়ে দিতে চাই।"
মোঃ শরীফুল ইসলাম খান
৫ম বর্ষ, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ
ফেসবুক লিংক - http://fb.com/DrREAL
" আপনাদের অনেকের হয়ত সিলেট মেডিকেল কলেজে "নার্সদের উপর শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের হামলা" নামক একটি খবর চোখে পড়েছে। সংবাদমাধ্যম তাঁদের ইচ্ছেমত ব্যাপারটি প্রচারও করেছে। কিন্তু তাতে প্রকৃত ঘটনার ছিটেফোঁটাও আসে নি। বস্তুত প্রকৃত ঘটনাটি মোটামুটি এরকম-
রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ইন্টার্ণ চিকিৎসক ডাঃ তোফায়েল এক রোগীর ফাইল দেখার জন্য ব্রাদার প্রলয়কে তলব করেন। কিন্তু ব্রাদার প্রলয় তখন এক নার্সের সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ছিল। ব্যাপারটি ডাঃ তোফায়েল সহকারী রেজিস্টারের দৃষ্টিতে আনলে সহকারী রেজিস্টার সরেজমিনে দেখতে আসেন। সহকারী রেজিস্টারকে দেখে প্রলয় ক্ষেপে যায় এবং ডাঃ তোফায়েলকে দেখে নেবে বলে ওয়ার্ড ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সে ৮-১০ জন বহিরাগত এনে ডাঃ তোফায়েলকে লাঞ্ছিত করে এবং বলে ফাইল যেন ডাক্তার নিজেই গিয়ে দেখে আসে। এ সময় উপস্থিত থাকা ইন্টার্ন চিকিৎসক ডাঃ জনি লাল দাশকেও তারা দেখে নেবার হুমকি দেয়। হাসপাতালের অন্যান্য চিকিতসকদের মধ্যে এ ঘটনা জানাজানি হলে সবাই প্রলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সে এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটিয়েছে। এরপর হাসপাতালের পরিচালক এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরবর্তীতে আজ সোমাবার বেলা ১১টায় সিলেট নার্সিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা তাঁদের ক্লাস বর্জন করে এবং কর্ম বিরতি পালন করে মানববন্ধন করে। এছাড়াও তারা ডাঃ তোফায়েল এবং ডাঃ জনি লাল দাশের নামে মিথ্যাচার করে এবং তার বিরুদ্ধে পোস্টারিং করে। ডাক্তারদের সন্ত্রাসী নামেও অভিহিত করে নার্সরা। কিছু সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে সংবাদকর্মীরা হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডাঃ জয় সাহাকে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে কিনা এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেন "হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রয়েছে এবং ইন্টার্ণ চিকিৎসকসহ সর্বস্তরের চিকিৎসক এবং সিনিয়র স্টাফ-নার্সরা তাঁদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে"। তিনি আরও বলেন নার্সদের এ আন্দোলন সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সংবাদ মাধ্যম গুলো তার এ বক্তব্য প্রচার না করে প্রচার করেন ডাঃ জয় সাহা তার বিবৃতি দিতে অস্বীকার করেছেন। এ ছাড়াও হাসপাতালে কোন ডাক্তার-নার্স নেই তাই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে প্রচার করেন। বস্তুতপক্ষে সংবাদমাধ্যমের প্রচারিত সংবাদের সাথে সত্যতার লেশমাত্র নেই। এমতাবস্থায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা দুপুর ৩টার দিকে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। জানিনা এই সংবাদটি কিভাবে প্রচার করা হয়। তাই আপনাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষদের মাঝে এ খবরটি ছড়িয়ে দিতে চাই।"
মোঃ শরীফুল ইসলাম খান
৫ম বর্ষ, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ
এ সাইটে লিখতে যোগাযোগ করুন -
-ডাঃ স্বাধীনফেসবুক লিংক - http://fb.com/DrREAL