*নবীন হবু ডাক্তারদের জ্ঞাতার্থে* সেই ছোট বেলা থেকে পিতা মাতা দারা লালায়িত সপ্ন আজ মনে হয় পুরন হওয়ার পথে এই চিন্তা ভাবনা নিয়েই তোমরা...
*নবীন হবু ডাক্তারদের জ্ঞাতার্থে*
সেই ছোট বেলা থেকে পিতা মাতা দারা লালায়িত সপ্ন আজ মনে হয় পুরন হওয়ার পথে এই চিন্তা ভাবনা নিয়েই তোমরা কলেজে এসেছ,, ,,,প্রথম প্রথম কলেজের সব কিছুই তোমাদের ভাল লাগবে কারন জিবনে প্রথম এপ্রন পরেছ ,,নিজেকে একটু ডাক্তার ডাক্তার ভাব লাগবে, ,,,এটাই মেডিকেল এর এই জালাময়ি জিবনের প্রথম সুখ,,,,, ক দিন পরেই বুজবা নিজেকে নিজেই জাহান্নামের কোন কারাগারে এনে হাজির করেছ,,,তখনই শুরু হবে হতাশার চরম লিলাখেলা আর এই হতাশা তুমাকে নিয়ে যাবে ধংসের শেষ প্রান্তে,,,তখনই তুমি নিজেকে নিজেই ঘৃনা করতে শুরু করবা,,,,,আর তখন তোমার সেই হতাশা গ্রস্ত সময় কে কেন্দ্র করে আমি কিছু কথা তোমাদের জ্ঞাতার্থে বলছি ,,,,,,,,,,
আমি প্রথম প্রথম মেডিকেল এর এই জালাময়ি জিবনে হতাশা গ্রস্ত হয়ে আইটেম, কাড, টাম ঠিক মতন দিতাম না ,,, একদিন এনাটমির আইটেম এ,,আমাদের একজন সার আমাকে বলল তুমি এত হতাশ কেন? ? তুমি জান তুমি কে তুমি আল্লাহ দারা নিবাচিত হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রী দের মধ্য থেকে একজন লাকি মেডিকেল ছাত্র, তুমি জান তুমি কোন প্রফেশনের জন্য নিবাচিত হয়েছ যে প্রফেশন কে বলা হয় "most noble profession in the world " এই প্রফেশনের মাধ্যমে যে ভাবে মানব সেবা করা যায় অন্য কোন কিছুর মাধ্যমে এতটা করা যায় কিনা তা আজও আমার বোধগম্য নহে ।হাজার হাজার,মিলিয়ন বিলিয়ন টাকা দিয়েও এত মানব সেবা করা যায় না যতটা করা যায় এই নোবেল প্রফেশনের মাধ্যমে। এই প্রফেশন আল্লাহ সবাই কে দেন না। আল্লাহ প্রতি বছর তার কিছু প্রিয় বান্দা কে এই মহত কাজের জন্য নিবাচিত করেন ,,,,ছোট ভাইয়েরা তোমরা মহান আল্লাহর সেই প্রিয় বান্দা যাদের কে আল্লাহ নিবাচিত করেছেন এই মহত প্রফেশনের জন্য। আমি যদি আমার নিজের কথা বলি তবে বলতে পারি আমি মানুসের যতটুকু আদর স্নেহ মায়া মমতা ভালবাসা পেয়েছি এই প্রফেশনের ছাত্র হয়ে তা অন্য কোন প্রফেশনে পেতাম কিনা তা নিয়ে আমি খুবই সন্দিহান। ।।।।।
সুতরাং ছোট ভাইয়েরা হতাশা গ্রস্ত না হয়ে নিজেকে একজন এই মহত প্রফেশনের ভাগ্যবান মানব হিসেবে মনে করে তোমার মেডিকেল জিবন শুরু কর। তাহলেই তুমি তোমার নিজেকে একজন আদশ মানুস হিসেবে জিবনের কোন এক সময় কল্পনা করতে পারবে,,,,,,,