মেডিকেলে অনেক কিছুই শুধুমাত্র ভাগ্যের সহায়তায় ঘটে থাকে..... ১.প্রথমেই ভেবে দেখুন আপনার মেডিকেলে চান্স পাওয়ার বিষয়টা। এ বছর প্রায় ৬৮,২১৩ ...
মেডিকেলে অনেক কিছুই শুধুমাত্র ভাগ্যের সহায়তায় ঘটে থাকে.....
১.প্রথমেই ভেবে দেখুন আপনার মেডিকেলে চান্স পাওয়ার বিষয়টা।
এ বছর প্রায় ৬৮,২১৩ জন (সম্ভবতঃ) পরীক্ষার্থী ছিল যার বিপরীতে সিট সংখ্যা মাত্র ৩,৩৪০টি।
যার মধ্যে একটি সিট আপনার,আর যারা ফার্স্ট টাইম চান্স পেয়েছেন তারা তো Super-Lucky.
কারণ সেকেন্ড টাইম স্টুডেন্টসদের প্রায় ১৩-১৪ মাসের প্রেক্ষিতে আপনারা পেয়েছেন মাত্র ৫মাসের মত।
তবুও তাদেরকে ডিঙিয়ে চান্স পেয়েছেন।
পরিশ্রম তো অবশ্যই আছে,তবে ভাগ্যই এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে।
কারণ খেয়াল করে দেখবেন আপনার কলেজেরই আপনার চেয়ে ভাল স্টুডেন্টসরা চান্স মিস করেছে/সিরিয়ালে নিচের মেডিকেলে চান্স পেয়েছে।
আবার যেখানে কোচিং করেছেন সেখানে রেগুলার ভাল পারফর্ম করা অনেকেই চান্স পায়নি।
সুতরাং আপনি কিন্তু অবশ্যই সৌভাগ্যবান/সৌভাগ্যবতী।
এরপরও চান্স পাওয়ার পর যদি কেউ বলেন যে,একমাত্র পরিশ্রম করেই আপনি চান্স পেয়েছেন তাহলে বলতেই হয় যে আপনার মত গোঁড়া কমই আছে।
২.ভাইভা পরীক্ষাও বড় একটা ভাগ্য যাচাইয়ের জায়গা।
দেখবেন একেক স্যার একেক স্টাইলে ভাইভা নেন।
কেউ সহজ সহজ টপিক থেকে প্রশ্ন করে সহজেই পাশ করান,আবার কেউ কঠিন প্রশ্ন করে ফেল করানোর চিন্তায় থাকেন।
আবার,একই স্যারের কাছে ভাইভা দিলে দেখবেন কারো ভাগ্যে সহজ ও কারো ভাগ্যে কঠিন প্রশ্ন পড়ে যায়।
কারণ স্যার চিন্তা করে রাখেন না যে কততম জনকে কি কি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবেন?
ফলে বেশি পড়েও কঠিন প্রশ্নের সম্মূখীন হয়ে ফেল করতে পারেন,অন্যদিকে আপনার চেয়ে তুলনামূলক কম পড়েও পাশ করে যেতে পারে আপনার কোন ব্যাচমেট।
এখানে অনেকটাই ভাগ্যনির্ভর,আপনার তেমন একটা হাত নাই।
তাই ফেল করলে হতাশ হবেন না,নিজেকে কষ্টে/চাপে রাখবেন না।
৩.মেডিকেলের পরীক্ষাগুলো প্রফভেদে অনেকগুলো ধাপে (Written, OSPE,Traditional,Surface Marking, Radiololy, Short Case,Long Case & Viva) বিভক্ত হওয়াতে পরীক্ষা চলাকালীন চাপে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ফলে জীবন নিয়েই যেখানে টানাটানি সেখানে ভাল করে পড়ে পরীক্ষা দেয়া অনেক কষ্টকর।
ফলে আগে ভাল পড়া থাকলেও পরীক্ষার মধ্যে পড়তে না পারার কারণেও আপনি ফেল করতে পারেন।
সুতরাং বেশি চাপ না নিয়ে রিল্যাক্স থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন,কারণ আপনি ভাইভাতে না পারলে স্যারেরা আপনাকে মেরে ফেলবেন না।
আর ফেল করলে সাপ্লি,রি-সাপ্লি তো আছেই...
ফলে ইয়ার লস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।
৪.মেডিকেলে রোল নাম্বার বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
কোন নির্দিষ্ট দিনের পরীক্ষায় প্রথম দিকের রোল যাদের তারা কিছুটা সহজ প্রশ্নের সম্মূখীন হয়,ফলে পাশ কিছুটা সহজ ।
কারণ স্যার প্রথমে কমন প্রশ্ন দিয়েই ভাইভা শুরু করেন।
তবে বেশি ভাল পারলে কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবেন বেশি মার্ক দেয়ার জন্য।
রোল পিছানোর সাথে সাথে স্যারের মেজাজ ও প্রশ্নের ধরণ পরিবর্তন হবে,ফলে ভাল পড়েও পরীক্ষা খারাপ দিতে পারেন।
তবে রোল পরে হলেও সুবিধা পাওয়া যায় অনেক সময়।
ভাইভাতে কোন প্রশ্নগুলো বেশি (Frequently) ধরে তা জানা যায়,যা প্রথমদিকের স্টুডেন্টসরা জানার জন্য তেমন সময় ও সুযোগ পায় না।
সোজা কথায়,ভাগ্য আপনাকে যেকোন পজিশনে রেখেই সুবিধা দিয়ে পাশ করাতে পারে,যদি সহায় হয়/আপনার অনূকুলে থাকে।
৫.আবার কিছু স্যার/ম্যাডাম থাকেন যারা সমলিঙ্গদেরকে চুম্বকের মত বিকর্ষণ করেন।
ফলে স্যারের কাছে ভাইভা পড়লে ছেলেদেরকে এবং ম্যাডামের কাছে ভাইভা পড়লে মেয়েদেরকে একদম তুলাধুনা করে ছেড়ে দেন।
অর্থাৎ সামান্য ভুলের কারনেই ব্যাপক ঝাড়ি দেন,এমনকি ফেলও করান।
তবে স্বস্তির কথা হলো এমন স্যার -ম্যাডামের সংখ্যা খুবই কম।
সুতরাং
"ভাগ্য মানুন,রিল্যাক্সে থাকুন"...
লিখেছেন --
ABDULLAH ASHIQUE
আব্দুল্লাহ আশিকের সব লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন
১.প্রথমেই ভেবে দেখুন আপনার মেডিকেলে চান্স পাওয়ার বিষয়টা।
এ বছর প্রায় ৬৮,২১৩ জন (সম্ভবতঃ) পরীক্ষার্থী ছিল যার বিপরীতে সিট সংখ্যা মাত্র ৩,৩৪০টি।
যার মধ্যে একটি সিট আপনার,আর যারা ফার্স্ট টাইম চান্স পেয়েছেন তারা তো Super-Lucky.
কারণ সেকেন্ড টাইম স্টুডেন্টসদের প্রায় ১৩-১৪ মাসের প্রেক্ষিতে আপনারা পেয়েছেন মাত্র ৫মাসের মত।
তবুও তাদেরকে ডিঙিয়ে চান্স পেয়েছেন।
পরিশ্রম তো অবশ্যই আছে,তবে ভাগ্যই এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে।
কারণ খেয়াল করে দেখবেন আপনার কলেজেরই আপনার চেয়ে ভাল স্টুডেন্টসরা চান্স মিস করেছে/সিরিয়ালে নিচের মেডিকেলে চান্স পেয়েছে।
আবার যেখানে কোচিং করেছেন সেখানে রেগুলার ভাল পারফর্ম করা অনেকেই চান্স পায়নি।
সুতরাং আপনি কিন্তু অবশ্যই সৌভাগ্যবান/সৌভাগ্যবতী।
এরপরও চান্স পাওয়ার পর যদি কেউ বলেন যে,একমাত্র পরিশ্রম করেই আপনি চান্স পেয়েছেন তাহলে বলতেই হয় যে আপনার মত গোঁড়া কমই আছে।
২.ভাইভা পরীক্ষাও বড় একটা ভাগ্য যাচাইয়ের জায়গা।
দেখবেন একেক স্যার একেক স্টাইলে ভাইভা নেন।
কেউ সহজ সহজ টপিক থেকে প্রশ্ন করে সহজেই পাশ করান,আবার কেউ কঠিন প্রশ্ন করে ফেল করানোর চিন্তায় থাকেন।
আবার,একই স্যারের কাছে ভাইভা দিলে দেখবেন কারো ভাগ্যে সহজ ও কারো ভাগ্যে কঠিন প্রশ্ন পড়ে যায়।
কারণ স্যার চিন্তা করে রাখেন না যে কততম জনকে কি কি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবেন?
ফলে বেশি পড়েও কঠিন প্রশ্নের সম্মূখীন হয়ে ফেল করতে পারেন,অন্যদিকে আপনার চেয়ে তুলনামূলক কম পড়েও পাশ করে যেতে পারে আপনার কোন ব্যাচমেট।
এখানে অনেকটাই ভাগ্যনির্ভর,আপনার তেমন একটা হাত নাই।
তাই ফেল করলে হতাশ হবেন না,নিজেকে কষ্টে/চাপে রাখবেন না।
৩.মেডিকেলের পরীক্ষাগুলো প্রফভেদে অনেকগুলো ধাপে (Written, OSPE,Traditional,Surface Marking, Radiololy, Short Case,Long Case & Viva) বিভক্ত হওয়াতে পরীক্ষা চলাকালীন চাপে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ফলে জীবন নিয়েই যেখানে টানাটানি সেখানে ভাল করে পড়ে পরীক্ষা দেয়া অনেক কষ্টকর।
ফলে আগে ভাল পড়া থাকলেও পরীক্ষার মধ্যে পড়তে না পারার কারণেও আপনি ফেল করতে পারেন।
সুতরাং বেশি চাপ না নিয়ে রিল্যাক্স থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন,কারণ আপনি ভাইভাতে না পারলে স্যারেরা আপনাকে মেরে ফেলবেন না।
আর ফেল করলে সাপ্লি,রি-সাপ্লি তো আছেই...
ফলে ইয়ার লস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।
৪.মেডিকেলে রোল নাম্বার বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
কোন নির্দিষ্ট দিনের পরীক্ষায় প্রথম দিকের রোল যাদের তারা কিছুটা সহজ প্রশ্নের সম্মূখীন হয়,ফলে পাশ কিছুটা সহজ ।
কারণ স্যার প্রথমে কমন প্রশ্ন দিয়েই ভাইভা শুরু করেন।
তবে বেশি ভাল পারলে কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবেন বেশি মার্ক দেয়ার জন্য।
রোল পিছানোর সাথে সাথে স্যারের মেজাজ ও প্রশ্নের ধরণ পরিবর্তন হবে,ফলে ভাল পড়েও পরীক্ষা খারাপ দিতে পারেন।
তবে রোল পরে হলেও সুবিধা পাওয়া যায় অনেক সময়।
ভাইভাতে কোন প্রশ্নগুলো বেশি (Frequently) ধরে তা জানা যায়,যা প্রথমদিকের স্টুডেন্টসরা জানার জন্য তেমন সময় ও সুযোগ পায় না।
সোজা কথায়,ভাগ্য আপনাকে যেকোন পজিশনে রেখেই সুবিধা দিয়ে পাশ করাতে পারে,যদি সহায় হয়/আপনার অনূকুলে থাকে।
৫.আবার কিছু স্যার/ম্যাডাম থাকেন যারা সমলিঙ্গদেরকে চুম্বকের মত বিকর্ষণ করেন।
ফলে স্যারের কাছে ভাইভা পড়লে ছেলেদেরকে এবং ম্যাডামের কাছে ভাইভা পড়লে মেয়েদেরকে একদম তুলাধুনা করে ছেড়ে দেন।
অর্থাৎ সামান্য ভুলের কারনেই ব্যাপক ঝাড়ি দেন,এমনকি ফেলও করান।
তবে স্বস্তির কথা হলো এমন স্যার -ম্যাডামের সংখ্যা খুবই কম।
সুতরাং
"ভাগ্য মানুন,রিল্যাক্সে থাকুন"...
লিখেছেন --
ABDULLAH ASHIQUE
আব্দুল্লাহ আশিকের সব লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন