হঠাৎ পেটে ব্যাথা শুরু হলে ডাক্তারের কাছে গিয়ে জানা গেল অ্যাপেন্ডিক্স বার্স্ট করেছে। তড়িঘড়ি অস্ত্রপচার। এই পর্যন্ত সবকিছু ঠিকই ছিল। কিন...
হঠাৎ পেটে ব্যাথা শুরু হলে ডাক্তারের কাছে গিয়ে
জানা গেল অ্যাপেন্ডিক্স বার্স্ট করেছে। তড়িঘড়ি অস্ত্রপচার। এই পর্যন্ত সবকিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু হাসপাতালের বিল হাতে পেতেই রুগীর চক্ষু চড়কগাছ। অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন করতে হাসপাতালের বিল হয়েছে ৫৫ হাজার ২৯.৩১ ডলার। অর্থাৎ ৩৪ লক্ষ ১১ হাজার ৮১৭টাকা! ঘটনাটি ঘটেছে, আমেরিকার কালিফের সাক্রামেন্টোর সাটার জেনেরাল হাসপাতালে।
আমাদের দেশের, সরকারী হাসপাতালে, এই অপারেশন করাতে খরচ হতো নামমাত্র মূল্য। বেড ফ্রি, অপারেশন চার্জ ফ্রি, পোষ্ট অপারেটিভ কেয়ার ফ্রি, অধিকাংশ ওষুধ ফ্রি। শুধু মাত্র অল্প কিছু ওষুধ, পকেটের টাকা খরচ করে কেনা লাগতো।
তারপরেও, এদেশের জনগন আর সাংঘাতিকরা, প্রতিনিয়ত ডাঃদের গুষ্ঠি উদ্ধার করতে ব্যস্ত। বলে, এদেশের ডাঃরা কসাই। এদেশের ডাঃদের মধ্যে কোনো মানবতা নেই। নেই কোনো আন্তরিকতা।
আসলেই, আমাদের দেশের ডাঃদের মধ্যে কোনোই আন্তরিকতা নেই। যতো আন্তরিকতা, তা আছে, ভিন দেশী ডাঃ আর আমাদের দেশের রুগীদের।
রুগীরা, আমেরিকাতে যেয়েও আন্তরিকতা দেখায়, আমাদের দেশেও আন্তরিকতা দেখায়। শুধু তফাৎটা হলো,
আমাদেরকে, অত্যন্ত আন্তরিকতার সহিত, বিনা পঁয়সায় বাঁশ দিয়া যায়। আর, আমেরিকা থেকে, তার চাইতেও বেশী আন্তরিকতার সহিত, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করিয়া বাঁশ খাইয়া আসে।।
===ডাঃ শামীম রেজা===
জানা গেল অ্যাপেন্ডিক্স বার্স্ট করেছে। তড়িঘড়ি অস্ত্রপচার। এই পর্যন্ত সবকিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু হাসপাতালের বিল হাতে পেতেই রুগীর চক্ষু চড়কগাছ। অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন করতে হাসপাতালের বিল হয়েছে ৫৫ হাজার ২৯.৩১ ডলার। অর্থাৎ ৩৪ লক্ষ ১১ হাজার ৮১৭টাকা! ঘটনাটি ঘটেছে, আমেরিকার কালিফের সাক্রামেন্টোর সাটার জেনেরাল হাসপাতালে।

আমাদের দেশের, সরকারী হাসপাতালে, এই অপারেশন করাতে খরচ হতো নামমাত্র মূল্য। বেড ফ্রি, অপারেশন চার্জ ফ্রি, পোষ্ট অপারেটিভ কেয়ার ফ্রি, অধিকাংশ ওষুধ ফ্রি। শুধু মাত্র অল্প কিছু ওষুধ, পকেটের টাকা খরচ করে কেনা লাগতো।
তারপরেও, এদেশের জনগন আর সাংঘাতিকরা, প্রতিনিয়ত ডাঃদের গুষ্ঠি উদ্ধার করতে ব্যস্ত। বলে, এদেশের ডাঃরা কসাই। এদেশের ডাঃদের মধ্যে কোনো মানবতা নেই। নেই কোনো আন্তরিকতা।
আসলেই, আমাদের দেশের ডাঃদের মধ্যে কোনোই আন্তরিকতা নেই। যতো আন্তরিকতা, তা আছে, ভিন দেশী ডাঃ আর আমাদের দেশের রুগীদের।
রুগীরা, আমেরিকাতে যেয়েও আন্তরিকতা দেখায়, আমাদের দেশেও আন্তরিকতা দেখায়। শুধু তফাৎটা হলো,
আমাদেরকে, অত্যন্ত আন্তরিকতার সহিত, বিনা পঁয়সায় বাঁশ দিয়া যায়। আর, আমেরিকা থেকে, তার চাইতেও বেশী আন্তরিকতার সহিত, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করিয়া বাঁশ খাইয়া আসে।।
===ডাঃ শামীম রেজা===