নিপাহ ভাইরাস প্রথম সনাক্ত করা হয় মালয়েশিয়ার একটি শুয়োরের ফার্মে। সে সময় এ ভাইরাসে ১০৫ জন মারা যায়।Kampung Nipah নামক স্হানে এ ভাইরাসের প্...
বাংলাদেশে মূলত বাদুড়ের মুখের লালা থেকে নিপাহ ভাইরাস ছড়ায়।আক্রান্ত বাদুড় মুখে দিয়েছে এমন ফল বা খেজুরের রস যদি মানুষ খায় তাহলে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।এটি একটি মারাত্মক রকম ছোঁয়াচে ভাইরাস।আক্রান্তব্যক্তির হাচি কাশি থেকেও এ ভাইরাস ছড়ায়। বাংলাদেশে রোগীদের বেশিরভাগই আক্রান্ত হয়েছেন খেজুরের রস খেয়ে।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা, রংপুর এবং নীলফামারীতে এ ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।
লক্ষণ ও উপসর্গঃ
জ্বর, মাথাব্যথা, প্রলাপ বকা, অজ্ঞান হওয়া এবং তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকা। এছাড়াও, কাশি, পেট ব্যথা, বমি ভাব, দূর্বলতা ইত্যাদি অন্যতম উপসর্গ।
নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এনকেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহ শুরু হয়।ঘাড় ও পিঠ শক্ত হয়ে যায়, বমি বমি লাগে এবং আক্রান্তরা আলো সহ্য করতে পারে না।রোগের তীব্রতা বাড়লে হঠাত্ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে,অনেকেই পক্ষঘাতগ্রস্হ হয়ে পরে।
এ রোগে মৃত্যুহার খুব বেশি। আক্রান্তদের প্রায় ৭৫ ভাগ মারা যায়।
সর্তকতা ও প্রতিরোধঃ
*খেজুরের কাঁচা রস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
*ফলমুল ভালোভাবে না ধৌত করে খাওয়া যাবে না।
*পাখি ঠোকরানোর চিহ্নযুক্ত বা অর্ধ খাওয়া ফল খাওয়া যাবে না।
*গাছ থেকে যে-কোন ধরনের আংশিক ফল ভক্ষণ করা উচিত নয়।
*আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসলে সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধৌত করা উচিত।
*নিপাহ ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাঁচি কাশি থেকে এ রোগ ছড়ায়। সুতরাং আক্রান্ত রোগীর সামনে গেলে মুখে রুমাল বেঁধে নিতে হবে, তার একই প্লেটের খাবার বা একই গ্লাসের পানি খাওয়া যাবে না।
*বাড়ির আশেপাশে বাদুড় থাকলে সম্ভব হলে দুরে রাখার ব্যবস্হা করতে হবে।
আতঙ্কিত না হয়ে বরং সবাই মিলে সতর্ক থাকলে এবং মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করলে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমন রোধ করা সম্ভব।
তথ্য গুলো বেশ কয়েকটা জাতীয় দৈনিক এবং উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।